Gallery

[All Post][slideshow]

Search This Blog

Powered by Blogger.

Blog Archive

মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( স.) রচনা || বাংলা রচনা || Hazrat Muhammad (Sm)

বাংলা রচনা 
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) - রচনা
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ওপর রচনা
সমাজ সংস্কারক হিসেবে মহানবী (স.) - রচনা


মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( স.) রচনা || বাংলা রচনা || Hazrat Muhammad (Sm)


সূচি তালিকা:

১.ভূমিকা 

২.তৎকালীন বিশ্ব ও মুহাম্মদ (স.) এর আবির্ভাবের অবকাশ।

৩.বিশ্বনবী (স.) এর আবির্ভাব 

৪.জন্ম ও বংশ পরিচয় 

৫. বিবাহ 

৬.নবুওয়াত লাভ

৭. ইসলাম প্রচার

৮. হিজরত

৯. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা 

১০.ওফাত

১১.বিশ্বনবী  (স.) এর জীবনাদর্শ 

১২. সমগ্র বিশ্বের ইসলাম প্রচার ও কয়েকটি যুদ্ধে 

১৩.বর্তমান বিশ্ব ও বিশ্বনবী (স.)

১৪. উপসংহার



মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.):

মানুষ "আশরাফুল মাখলুকাত" মহান আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব। সত্য ও সুন্দরের শিক্ষা দিয়ে মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যুগে যুগে মানুষ অসত্য, অজ্ঞতা, কুসংস্কার গভীর তামসায় আচ্ছন্ন হয়ে ভুলে গেছে আপন পরিচয় আপন স্রষ্টা আর সত্যসুন্দর পবিত্র শিক্ষা। এমন  ঘনঘোর অমানিশায় দিশেহারা, পথভ্রষ্ট মানব জাতিকে মুক্ত করতে ধরাধামে আর্বিভূত হযন মহান পুরুষরা।তার আপন আলোয় উদ্ভাসিত করেন অন্ধকারচ্ছন্ন পৃথিবী, মানুষকে বলে দেন মুক্তির দিশা। মান মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)এমনই একজন মানুষ যিনি মানবতার মুক্তির দিশার,পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ।


যেসব মহাপুরুষ মানবসভ্যতার ইতিহাসে স্মরণীয়- বরণীয়  হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (স.)।সত্য, ন্যায় ও আর্দশে মহান করে স্রষ্টা  তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। "আইয়াম জাহেলিয়াতি "বা অন্ধকার যুগের তিনি আলোকবর্তিকা হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর আদর্শ পথভ্রষ্ট মানুষকে  মুক্তিমন্ত্রে উজ্জীবিত  করেছিল। হযরত মুহাম্মদ ( স.) -এর উদারতা, মানিকবতা, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল অবস্থা,  ব্যক্তিত্ব ও কর্মতৎপরতা দেশকাল- সম্প্রদায় ও জাতি- ধর্মকে অতিক্রম করে বিশ্বমানবতার স্তরে উওীর্ণ হয়েছে। তিনি যেমন আরব জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন আল্লাহর নির্দেশিত পথে, তেমনি  সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য নির্বিরোধ শান্তির এক জ্যোতির্ময় পথ প্রদর্শন করে গেছেন ।  



তৎকালীন বিশ্ব ও মোহাম্মদ (স.) এর আবির্ভাবের আবশ্যকতাঃ-

বিশ্বনবী (স.) আবির্ভাবের পূর্বে সমগ্র পৃথিবী ছিল  অন্ধকারে আচ্ছন্ন। অনাচার, অবিচার আর ব্যভিচার জর্জরিত হয়ে পড়েছিল গোটা জগত ।আরব,পারস্য, ভারতবর্ষে তৎকালীন সভ্য জগতের সবখানেই নিভে গিয়েছিল সত্যের আলো।  সে সময়ে আরবের অবস্থা ছিল সবচেয়ে শোচনীয়।আইয়ামে  জাহিলিয়ার সেই বীভৎস যুগে মানুষ ছিল শান্তি হারা, অধিকারহারা, নির্মম ভাবে অত্যাচারিত  ও নিপীড়িত। মদ্যপান, জুয়া,নারীসস্তোগ, গৌরব গোএীয় দ্বন্দ্ব,  দস্যুবৃওি, নরহত্যা প্রভৃতি ছিল সে সময়ের আবর সমাজের সাধারণ চিত্র। নারী জাতির অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। গৃহপালিত পশুর মত আচরণ করা হত নারীর সাথে। কন্যা সন্তান জন্ম নিলে জীবন্ত কবর দেওয়া হত। এহেন অবস্থা একজন ত্রাণকর্তার আবির্ভাব যেন অবশ্যস্তাবী হয়ে পড়েছিল। যিনি অমানিশার আঁধার বিদীর্ণ করে জ্বালাবেন মুক্তির আলো।



বিশ্বনবী( স.) এর আবির্ভাবঃ- 

মুক্তির আলোকবার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এলেন নিখিলের চিরসুন্দর সৃষ্টি মোহাম্মদ  (স.)। সমগ্র সৃষ্টি জগতে যেন বয়ে গেল আনন্দে ফল্গুধারা। হযরত মুহাম্মদ (স.) আরবের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ মাতার নাম আমেনা। 



জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ-

হযরত মুহাম্মদ (স.)  আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ  রাসূল।   তিনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক। আরবের সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে, পবিত্র নগরী মক্কায় ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম বিবি আমেনা। আমাদের প্রিয় নবীর জন্মের পূর্বে পিতা হারান এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা ইন্তেকাল করেন। এরপর শিশু মুহাম্মদ (স.)-কে  তার দাদা আবদুল মোত্তালিব পরম স্নেহে পালন করেন। কিন্তু আট বছর বয়সে দাদা আবদুল মোত্তালিব ও ইন্তেকাল করেন। পিতৃব্য আবু তালিব এরপর তার লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । শৈশব  থেকেই মহানবী ছিলেন সহজ-সরল কোমল স্বভাবের অধিকারী। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা, ধর্মবোধ প্রভৃতি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন তিনি। সত্যবাদিতার জন্য শৈশবেই তিনি" আল-আমিন" বা "বিশ্বাসী " উপাধিতে ভূষিত হন। 



 বিবাহঃ-

হযরত মুহাম্মদ(স.)- এর সততা, ন্যায়পরায়ণতা বিশ্বস্ততা ও দায়িত্বশীলতায়, কথা সৌরভের মতো মক্কা নগরীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। কারন সেই যুগে এ ধরনের অকৃত্রিম চরিত্রের অধিকারী কেউ ছিলেন না। মক্কার ধনবতী বিধবা মহিলা বিবি খাদিজা তার সুখ্যাতি  শুনে তাকে তার ব্যবসার দায়িত্বভার দেন। বিশ্বস্ততার সঙ্গে হরযত ব্যবসা পরিচালনা করে বিবি খাদিজার ব্যবসায় সমৃদ্ধ আনয়ন করেন। হযরত মুহাম্মদ( স.)- এর দক্ষতা ,  সততা ও অতুলনীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে মুগ্ধ হয়ে বিবি খাদিজা তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। তখন হযরত মুহাম্মদ( স.)-এর বয়স ২৫ বছর আর বিবি খাদিজার বয়স ৪০। উভায়ে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।



নবুয়্যত লাভঃ-

সে যুগে আরবের অবস্থা ছিল দ্বন্দ্ববিক্ষুব্ধ হানাহানি-মারামারি, পারস্পারিক যুদ্ধ ও লড়াইয়ের ফলে নিয়ত রক্তাক্ত ছিল আরবভূমি।একদিকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অন্যদিকে ধর্মের নামে প্রচলিত ছিল নানা কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, গোঁড়ামি ও অর্থহীন আচার-অনুষ্ঠান। কন্যাশিশুকে জীবন্ত পুঁতে ফেলার মতো জঘন্য অপরাধ ছিল সেই সময়ের নিত্য ঘটনা। 


মক্কার কাবা ঘরেই ছিল অসংখ্য মূর্তি। মূর্তিপূজার নানা স্বতন্ত্র রীতি ছিল। গোএে গোএে বিরোধ ছিল। জাতির জীবন অনাচার-অবিচার, অবিচার ও অন্ধকার অমানিশা হযরত মুহাম্মদ(স.) -কে বিচলিত করতে। তিনি সবসময় এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য চিন্তাভাবনা করতেন। মক্কার অদূরে"হেরা"  পর্বতে গিয়ে একাগ্রচিওে আল্লাহর ধ্যানে আত্মনিয়োগ করেন। সুদীর্ঘ ১৫ বছর ধ্যান করার পর আল্লাহর দূত জিব্রাইল (আ.) ফেরেশতা ঐশী বাণী নিয়ে তার কাছে আসেন এবং তাকে আল্লাহর বাণী পাঠ করে শোনান। এভাবে ওহি নাযিল হয় এবং তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন। তখন তার বয়স ছিলো ৪০ বছর।  



ইসলাম প্রচারঃ-  

নবুয়ত প্রাপ্তির পর হযরত মুহাম্মদ (স.)আল্লাহর আদেশে ইসলাম প্রচার করেন। প্রথমে স্ত্রী বিবি খাদিজা ইমান এনে মুসলমান হলেন। তারপরে ইসলাম গ্রহণ করেন হযরত আবু বকর (র.)  হযরত আলী (র.) সহ একে একে অন্যেরা কালিমার দীক্ষা গ্রহণ করলে কায়েমী স্বার্থবাদী  সমাজপতিরা ভীত সম্ভস্ত হয়ে ওঠে। তারা মুহাম্মদ (স.) প্রচার কাজেক স্তব্ধ করে  দিতে নানা অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু এতে তিনি একটুও বিচলিত হননি।  



মদিনায় হিজরতঃ-  

কুরাইশদের হাজার অত্যাচার নির্যাতন কিংবা প্রলোভনে ও মুহাম্মদ (স.)  স্বীয় দায়িত্ব থেকে বিন্দুমাত্র বিচুত না হওয়ায় কুরাইশ সমাজপতিরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে হযরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর আদেশে মক্কা থেকে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন। যেসব  মক্কাবাসী হযরতের সঙ্গে মদিনার  গিয়েছিলেন তাদের মুহাজির (শরণার্থী) এবং যারা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তাদের আনসার (সাহায্যকারী) বলা হয়।



ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাঃ-

মদিনা ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠা ও হযরত মুহাম্মদ (স.) -এর প্রভাব- প্রতিপত্তি বৃদ্ধিতে মক্কার কুরাইশগণ ও শঙ্কিতওঈর্ষাম্বিত হয়ে ওঠেন।  মহানবী শুধু একজন ধর্ম প্রচারই ছিলেন না, তিনি একজন শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক,দূরদর্শী  রাজনীতিবিদ ও ছিলেন। তার দূরদর্শিতার কারণে মক্কার  ইহুদিদের সঙ্গে তার একটি চুক্তি হয়। তা 'হুদাইবিয়ার সন্ধি' নামে পরিচিত। 


অবশেষে তিনি এ ৬২৯ খ্রিস্টাব্দ মক্কা বিজয় করেন এবং সাহাবীদের নিয়ে পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্য সমঝোতার জন্য কতিপয় শর্তযুক্ত সনদে স্বাক্ষর করেন। তা 'মদিনা সনদ' নামে অভিহিত।এই সনদকেই প্রথম লিপিত শাসনতন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। 



সমগ্র বিশ্বে ইসলাম প্রচার ও কয়েকটি যুদ্ধঃ-

সমগ্র বিশ্বে প্রচার ও প্রসারের জন্য শান্তির নবীকেও যুদ্ধ করতে  হয়েছে। আল্লাহর নির্দেশে নিজেকে রক্ষার্থে পরিচালিত এসব যুদ্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বদর, উহুদ, খাইবার, তায়িফ, হুনাইন আহযাব প্রভৃতি ।  ৫৩০ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ বিনা রক্তপাতে মুহাম্মদ (স.) মক্কা জয় করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন রক্তপাতহীন নিরঙ্কুশ বিজয় আর দ্বিতীয়টি নেই । 



হযরত মুহাম্মদ (স.) -এর ওফাতঃ-

৬৩ বছর বয়সে, হিজরি বৎসরে, ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ ( ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ১৮) জুন সোমবার দ্বিপ্রহরে নামাজরত অবস্থায় হযরত মুহাম্মদ (স.)  -এর ওফাত হয়।



বিশ্বনবী (স.) - এর জীবনাদর্শঃ-

মহানবীর (স.)  এর চারিত্রিক মহিমায় মুগ্ধ  ইউরোপের বিশ্ব বিখ্যাত  মহাবীর নেপোলিয়ান বোনাপার্ট তার "অটোবায়োগ্রাফি" তে বলেছেন -"আমি আল্লাহর মহিমা কীর্তন করি, এবং পূত চরিত্র ও দিব্য প্রেরণা দীপ্তি   মুহাম্মদকে আর পবিত্র কোরআনকে শ্রদ্ধা নিবেদন করি"।


এক্ষেত্রে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ  এডওয়ার্ড গিবনের  বক্তব্য প্রাণীধানযোগ্য- " তিনি ছিলেন কথাবার্তায় সবচেয়ে মিষ্টি ভাষি, সবচেয়ে মনোজ্ঞ। তাকে যারা দেখেছেন তারা আবেগপলুত হয়েছেন -অপ্রত্যাশিতভাবে। যারা কাছে এসেছেন তারা তাকে ভালোবেসেছেন। পরে তারা বিবরণ দিয়েছেন তার মতো মহামানব আগে কখনো দেখেনি পার ও না। মুহাম্মদ( স.) এর স্মৃতিশক্তি ছিল গভীর, তার রসিকতা ছিল শালীন। তার কল্পনা ছিল উন্নত ও মহৎ। তার বিচার বুদ্ধি ছিল তীক্ষ্ণ। জগতিক শক্তির সবচেয়ে শিখরে সর্বোচ্চ শিখরে পৌছেও মুহাম্মদ (স.) নিজ গৃহের  কাজগুলো করতেন। তিনি আগুন জ্বালাতেন, ঘর ঝাড় দিতেন, দুগ্ধ গ্রহণ করতেন এবং নিজ হাতে কাপড় সেলাই করতেন"। 



 বিশ্বস্ততাঃ-

অসামান্য বিশ্বস্ততার দারুণ  বাল্যকালে তিনি আলা -আমিন উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি বিশ্বস্ততার চির মূর্ত -প্রতীক। লেবানেনর প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ  ফিলিপ হিট্টি বলেন-  তিনি কখনও  ওয়াদা খেলাফ করেননি বা কাউকে প্রতারিত করেননি।



ক্ষমাঃ- 

ত্রিভুবনের রহমত স্বরূপ প্রেরিত হন তিনি। প্রতিশোধ নয়, ক্ষমাশীলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের মধ্য দিয়ে তিনি তা প্রমাণ করেন। চূড়ান্ত মক্কা বিজয়ে তিনি তার হত্যার পরিকল্পনাকারীদের ও অপূর্ব  ক্ষমায় মুক্ত করে দেন।



 কর্মী মুহাম্মদ (স.):

শুধু বাগ্মিতাই নয়, স্বীয় আদর্শ বাস্তবায়নে বিরামহীন প্রচেষ্টা তার জীবনকে করে তুলেছে বিপুল কর্মময়। প্রফেসর লামাটিন তার, তুরস্কের ইতিহাস গ্রন্থ উল্লেখ করেছেন- দার্শনিক, বাগ্মী, ধর্মপ্রচারক, আইন প্রণেতা, যোদ্ধা, আদর্শ বিজয় মানবিক রীতি-নীতির প্রবর্তনকারী এবং একটি ধর্মীয় সাম্রাজ্য ও বিশটি জাতিক সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠাতা যিনি তিনি মোহাম্মদ।



বর্তমান বিশ্ব মহানবীর (স.):

সমস্যাসকুল অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠাও মানবজাতির  সর্বাত্নক  মুর্ক্তির একমাত্র পথ বিশ্বনবীর (স.)  জীবন আদর্শ বাস্তবায়ন। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভীতি সার্বিক মুক্তির অপূর্ব পথ বাতলে দিয়েছেন। এ সত্য আজ প্রতিষ্ঠাত যে তার প্রবর্তিক অর্থনৈতিক নীতিমালা অনুসরণের  আজও  মানবজাতিকেসাবধা।   রাষ্ট্রীয় দাসত্ব ও পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় অভিশাপ থেকে মুক্ত করে প্রকৃত সুখী করা সম্ভব। রাজনৈতিক মুক্তির দিকনির্দেশনা উল্লেখ করে পাশ্চাতের  খ্যাতিমান  মনীষী জর্জ বানার্ড শ  র্স্ষ্টভাবে বলেছেন।


I believe if  man like mahammad (am) were to assume the  dictatorship of modern worl. he would succeed in solving the problems in way the world bring much needed peace and happines. 


বর্তমান নারীরা নির্যাতিত, নিগৃহীত সর্বএ। এমতবস্থায় বিশ্বনবীর ( স.) দিকনির্দেশনাই নারীকে দিতে পারে মুক্তি। প্রাচ্য পন্ডিত  গিব তার "মোহাম্মদডেনিজাম" গ্রন্থ -বলেছেন-"আজ এটা  এক বিশ্বজনীন সত্য যে, "মোহাম্নাদ নারীদেরকে উচ্চতার মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন"। 



উপসংহারঃ-

হযরত মুহাম্মদ (স.) নবীদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি 'রাহমাতুল্লিল আলামিন 'অর্থাৎ জগতের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তিনি ছিলেন ফুলের মত সৌরভময় মহাপুরুষ। শিশুর মত সরল। সত্য ন্যায়ের  প্রতি ছিল তার অনড় বিশ্বাস। তার জীবন আদর্শ জাতি- ধর্ম বিশ্বের সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয়।

               

 

No comments:

Biography

[Biography][grids]

All Song Lyrics

[All Song Lyrics][stack]